সবার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক হয় না কেন?
বর্তমানে সিকিউরিটির জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে | ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর ব্যবহার বিভিন্ন জায়গায় হয়ে থাকে যেমন মোবাইলফোন এছাড়াও লকারে এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় এটির ব্যবহার রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক এমন একটি লক সিস্টেম শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া কোনভাবেই সে লক খোলা সম্ভব নয় |
ফিঙ্গারপ্রিন্ট কি?
প্রথমে আমাদের এটা বুঝতে হবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট কি ফিঙ্গারপ্রিন্ট হলো এক ধরনের আঙ্গুলের ছাপ যারা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সম্ভব অর্থাৎ এক ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপের সাথে অন্য ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপ এর কোন মিল পাওয়া যায় না |
কিন্তু কেন মিল পাওয়া যায় না, কেনই বা সবার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক হয় না, আজকে এই বিষয় নিয়েই আর্টিকেলে আলোচনা করব |
আঙ্গুলের ছাপ সাধারণত মায়ের গর্ভে থাকাকালীন অবস্থায় শিশুর মধ্যে এটা তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায় | আঙ্গুলের ছাপ পুরোপুরি তৈরি হওয়ার জন্য 10 থেকে 14 সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে |
এবং এর মধ্যেই আঙ্গুলের ছাপ পুরোপুরিভাবে একটা শিশুর মধ্যে চলে আসে | এবং তারপর শিশুটি যত বড়ই হোক না কেন পরবর্তীতে আর কখনোই আঙ্গুলের ছাপ পরিবর্তন হয় না এটা কখনো প্রকৃতভাবে বদলায় না |
কিভাবে আঙ্গুলের ছাপ আসে ?
আমাদের ত্বক সাধারণত 3 স্তর বিশিষ্ট no-1 এপিডারমিস (epidermis), no-2 বেসেল লেয়ার (basal layer), no-3 ডারমিস (dermis) |
দেশাল লেয়ারটি সাধারণত অন্য দুইটি লেয়ার এর তুলনায় দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে, এতে চাপ সৃষ্টি করে। এই চাপ সৃষ্টি হওয়ায় ফলে আংগুলের মধ্যে ভাঁজ হয়ে গিয়ে এরকম প্যাটার্ন তৈরি করে।
আঙুলের ছাপ কেন মেলে না?
এর কারণ কিছুটা জিনগত কিন্তু বেশিরভাগটাই নির্ভর করে মায়ের শরীরে থাকাকালীন তার পারিপার্শ্বিক অবস্থার ওপর, যেটা কখনও একজন আরেকজনের সাথে মেলে না।
রক্তচাপ, মায়ের শরীরে পুষ্টি, হরমোনের মাত্রা, এবং সর্বোপরি মায়ের জরায়ুতে সেই ভ্রূণের একদম ঠিকঠাক অবস্থান, তা মায়ের গর্ভে কতটুকু চাপ খাচ্ছে তার ওপর আঙুলের ছাপ সৃষ্টি হওয়াটা নির্ভর করছে।
এবার দেখুন, যমজ সন্তানের ক্ষেত্রেও কিন্তু আঙুলের ছাপ মিলবে না, কারণ দুটো ভ্রূণ মায়ের গর্ভে সমান চাপ পায়নি, একজন কম আর একজন একটু হলেও বেশি পাবে। এবং এভাবেই সাধারণত আঙ্গুলের ছাপ একজনের সাথে আরেকজনের কখনই মেলে না |

