কোকাকোলা কি?
কোকা-কোলা (ইংরেজি: Coca-Cola) হচ্ছে এক প্রকার কার্বোনেটেড কোমল পানীয় | Soft drink বলতে আমরা এক নামে যাকে চিনি সেটি হচ্ছে কোকাকোলা |
কোকাকোলা কোন দেশের কোম্পানি?
কোকাকোলার কোম্পানি তৈরি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের কলম্বাসে অবস্থিত ইগল ড্রাগ এন্ড ক্যামিক্যাল কোম্পানিতে | এটি তৈরি করেছিলেন জন পেম্বারটন
কেন কোকাকোলা এত জনপ্রিয় বা সফল?
কেন কোকাকোলা এত জনপ্রিয় বা সফল বলতে গেলে বাজারে সফট ড্রিঙ্ক বলতে আমরা এক নামে যাকে চিনি সেটা হচ্ছে কোকাকোলা | কিন্তু কেন বাজারে এত সব ড্রিংস এর ভিড়ে কোকাকোলা এতটা জনপ্রিয় আজ আমরা সেটি নিয়ে কথা বলবো |
কোকাকোলার শুরুটা নিয়ে যদি বলতে হয় তাহলে এর ইতিহাস টা বেশ ইন্টারেস্টিং কোকাকোলার গল্পটা শুরু হয় হাজার1885 সালের যখন জন পেম্বেরটন নামে একজন ব্যথা নাশক হিসাবে মরফিন এর পরিবর্তে একটি ফর্মুলা আবিষ্কার করে যা স্নায়ু ব্যথা ও মাথা ব্যথার ওষুধ হিসাবে এর ব্যবহার শুরু করা হয় |
শুরুতে এ তে অ্যালকোহলের ব্যবহার হলেও পরবর্তীতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরে পরবর্তীতে পেম্বেরটন এর আরো একটি নন অ্যালকোহল ফর্মুলা আবিষ্কার করেন এতে পোকা গাছের নির্যাস মিশ্রিত থাকায় এর নাম দেয়া হয় কোকাকোলা |
প্রেম বার্টন কোকাকোলা তৈরি করার পর থেকে অনেকেই তার কাছ থেকে পরবর্তীতে ফর্মুলা নিয়ে তাদের নিজেদের ড্রিংস বানাতে থাকে যদিও কোকাকোলা নামটা জন পেম্বেরটন এর নামে ছিল |
পরবর্তীতে Asa shanlor নামে একজন ব্যবসায়ী কোকাকোলার ফর্মুলা টি কিনে নেন যদিও এই বিষয়টি নিয়ে অনেক বিতর্ক ছিল তবে অনেকেই মনে করে Shanlor কোকাকোলার কোন এক কো ওনার স্বাক্ষর জাল করে ফর্মুলাটি হাতিয়ে নেয়, আবার অনেকেই মনে করে যে জন পেম্বেরটন মারা যাওয়ার পরপরই তার স্ত্রীর কাছ থেকে ফর্মুলাটি কিনে নেন কারণ তার ছেলে তখন ছোট হয় কিছুই করার ছিলনা |শুরুতেই কোকাকোলা স্থানীয় সোডা কাউন্টারগুলোতে বিক্রি হলেও পরবর্তীতে এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে এজন্য পরবর্তীতে একে বোতলজাত করা হয় প্রথম বছর এর দাম ছিল প্রতি ক্লাস 5 সেন্ড করে কোকাকোলার সুদূর প্রসারের কারণে বর্তমানে কোকাকোলা প্রতিদিন 1 দশমিক 9 বিলিয়ন কোকাকোলার পণ্য বিক্রি হয় 240 সুইমিং পুল সমান |
কোকাকোলার এত বেশি পরিমাণে ছেলের কারণে পড়তে হয়েছে তাদের অনেক বিভ্রান্তিতে কারণ হচ্ছে কোপান করার পরে যে বোতল গুলো পড়ে থাকত সেগুলো ও পরিবেশের অনেক ক্ষতি করত এজন্য প্লাস্টিকের সমীক্ষা অনুযায়ী কোকাকোলা অনেক পরিবেশ দূষিত একটি কোম্পানি | আর এজন্য কোকাকোলার জন্য রয়েছে অনেকগুলো পদক্ষেপ তারা তাদের ফ্যাক্টরিগুলো কে করেছে এনভায়রনমেন্ট ফ্রেন্ডলি |
একটা সমীক্ষায় দেখা গেছে যে পৃথিবীতে সবচেয়ে কোকাকোলা বেশি পান করা দেশগুলো হচ্ছে মেক্সিকো একজন ম্যাক্সিকান গড়ে 745 প্রতিবছর 745 পান করে মেক্সিকোর পড়ে আছে কানাডা এবং ইউ এস এ যেখানে গড়ে প্রতি বছর যথাক্রমে 259 ও 405 বোতল পান করে সবচেয়ে কম পান করা দেশ হচ্ছে চায়না এবং ইন্ডিয়া শুধুমাত্র কিউবা এবং নর্থ কোরিয়া তে কোকাকোলা বিক্রি করা হয় না তাছাড়া সারা দেশেই কোকাকোলা বিক্রি করা হয় এবং তার জনপ্রিয়তা এত বেশি যে পানির অল্টারনেটিভ হিসাবেও কোকাকোলা ব্যবহার করা হয় |
বর্তমানে কোকাকোলার ব্র্যান্ড ভ্যালু 80 মিলিয়ন ডলার যদি এর সাথে অন্য কোন কোম্পানির তুলনা করতে যাই তাহলে বলব pepsi, kfc, subway মার্কেট ভ্যালু একত্রিত করলেও কোকাকোলার সমান হবে না বর্তমানে কোকাকোলা সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সবথেকে বৃহত্তম ব্রান্ড | শতকরা আশি পার্সেন্ট মানুষ কোকাকোলার এই লাল-সাদা লোগোটি চেনেন |
যদি বলি কোকাকোলা মাত্র তাদের দশ পার্সেন্ট টাকা ব্যয় করে শুধুমাত্র তাদের ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য তাহলে অবাক হওয়ারই কথা বর্তমানে বিশ্ব বাজারে বা সব ড্রিংকের বাজারে অর্ধেকেরও বেশি জায়গা জুড়ে আছে কলা নিয়ন্ত্রণ করে কেউ যদি প্রতিদিন একটা করে কোকাকোলা ও পান করে তাহলে তার 9 বছর সময় লেগে যাবে সবগুলো ড্রিঙ্কস পরীক্ষা করতে |
ওয়ার্ল্ড এর সবচেয়ে চারটি জনপ্রিয় বিকৃত ড্রিঙ্ক মধ্যে কোকাকোলারই 5 টি আর এই লিস্টে জায়গা করে নিয়েছে তাদের একমাত্র মূল প্রতিদ্বন্দ্বী পেপসি হাজার 900 ত্বকের মাঝামাঝি দিকে কোকাকোলা বেশ নাম করে ফেললেও পেপসি সে সময় তাদের সাথে বেশ টক্কর দেয় |
কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি পেপসি থেকে কোকাকোলা সব সময় এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে | যদিও কিছু কিছু জায়গায় এখনও কোকাকোলা থেকে পেপসি কে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয় কিন্তু সেগুলোর পরিমাণ খুবই কম |
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে 1922 সাল থেকে 1933 সালের মধ্যে কোকাকোলা কে তিনবার অফার দেওয়া হয় পেপসি কে কিনে নেওয়ার জন্য কিন্তু তিনবারই কোকাকোলা তাদেরকে রিজেক্ট করে দেয় | কোকাকোলার জনপ্রিয়তার পরেই তারা বাজারে বিভিন্ন ধরনের ড্রিঙ্কস আনতে থাকে যেগুলো অনেক জনপ্রিয়তা পাই |
কোকাকোলা তাদের মাত্র 10 পার্সেন্ট বিজ্ঞাপন আর প্রচারণায় পিছনে ব্যয় করার পরেও কেন তারা অন্য সব পানীয় কোম্পানির থেকে এগিয়ে?
এর মূল কারণ হচ্ছে তাদের creative marketing strategyকোকাকোলা তাদের কোনো বিজ্ঞাপনের কিনে খাওয়ার কথা বা তাদের পণ্য কেনার কথা বলে না বরং তারা তাদের বিজ্ঞাপনে শেয়ার হ্যাপিনেস
যেমন:- একুশে ফেব্রুয়ারি দীপাবলি ঈদ ইত্যাদি বিভিন্ন কালচার ভেবে তারা বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে এজন্য তারা মানুষের সাথে এতটা কানেক্ট করতে পেরেছে কোকাকোলা আর এজন্যই কোকাকোলা অন্যান্য কোম্পানি থেকে এত এগিয়ে এবং এত সফলতা অর্জন করতে পেরেছে |
কোকাকোলা তৈরির উপাদান |
কোকাকোলা সাধারণত:- ফসফরিক অ্যাসিড, "চিনি, ক্যাফিন কার্বন ডাই অক্সাইড, ক্যারামেল এবং কোকা-কোলা এক্সট্রাক্ট - ইত্যাদি দিয়ে সাধারণত কোকাকোলা তৈরি করা হয় |
কোকাকোলা রেসিপি
কোকাকোলার রেসিপি বলতে সাধারণত কোকাকোলা দিয়ে অনেকগুলো রেসিপি তৈরি করা যায় যেমন,
Ditionতিহ্যবাহী কোকা-কোলা পিষ্টক
তাত্ক্ষণিক পট বিবিকিউ টানা শুয়োরের মাংস
কোক ফ্লোট পোপসিকেলস
কোলা গ্লাসের সাথে ক্রক-পট হ্যাম
ঘরে তৈরি বিবিকিউ সস দিয়ে কোকাকোলা মেরিনেটেড রিবস
কোকা কোলা ট্রেস লেচেস পিষ্টক
চেরি ভ্যানিলা ডার্টি কোক
ক্রক-পট কোকাকোলা টানা চিকেন
এছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের কোকাকোলার রেসিপি তৈরি করা যায় |
আরো জানতে..



