স্যামসাং কত বড় ? How Big is Samsung?

নামকরণ

স্যামসাং গ্রুপ এর প্রতিষ্ঠাতা অনুযায়ী জানা যায়, কোরিয়ান হাঞ্জা শব্দের অর্থ স্যামসাং (三星) "Tristar" বা "তিনটি তারা" বোঝানো হয়।বড়, অনেক এবং শক্তিশালী কথাগুলো প্রতিনিধিত্ব করে এই "তিন" শব্দটি। 



স্যামসাং কত বড় ?

স্যামসাং এর পরিচিতি 


একটি দক্ষিণ কোরীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এরা বিভিন্ন খাতে ব্যবসা করে থাকে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সাম্সেওং ইলেকট্রনিক্স যারা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। 


সাম্সেওং দল কোরিয়ার সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান। এর বর্তমান চেয়ারম্যান হচ্ছেন "ই গেওন্-হ্বি, যিনি স্যামসাং-এর প্রতিষ্ঠাতা 'লি বিয়ং চল'-এর তৃতীয় সন্তান। কোরীয় ভাষায় "সাম্সং"-এর অর্থ "তিন তারকা"।স্যামস্যাং শুধু মোবাইল এর ব্যবসাই করে না পাশাপাশি আরো অনেক ব্যবসা করে। 


এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হল জাহাজ নির্মাণকেন্দ্র। এর আয়তন ৪০ কোটি বর্গফুট যা গড়পড়তা ২০৫টি ফুটবল মাঠের সমান। পৃথিবীর সবচেয়ে উচু দালান বুর্জ আল খলিফা নির্মাণ করেছে স্যামসাং।


স্যামসাং কত বড়?


অর্থের দিক থেকে চিন্তা করলে 2014 সালে স্যামসাং এর রিভিনিউ ছিল  305 বিলিয়ন ডলার কথা হচ্ছে এটা কম নাকি বেশি এজন্য আমাদেরকে কম্পারিজন দরকার |  


2014 সালে অ্যাপেল রেভিনিউ ছিল 183 বিলিয়ন ডলার আর গুগলের 66 বিলিয়ন ডলার স্যামসাং এর রিভিনিউ অনেক বেশি ছিল শুধুমাত্র তাই নয় কোরিয়ার মোট জিডিপির 17 শতাংশ ছিল স্যামসাংয়ের | এখন প্রশ্ন হচ্ছে স্যামসাং কি এমন করে যে অ্যাপেল গুগোল এর মত বড় বড় কোম্পানি কে পিছে ফেলে দেয় বাস্তবে আমার আপনার কল্পনার থেকে থেকেও স্যামসাং অনেক বড় | 



স্যামসাং কত বড় ?



বর্তমানে স্যামসাং আইটি ব্যবসা এবং 80 টিরও বেশি অ্যাফিলিয়েটের সাথে জড়িত আছে | তাছাড়া পৃথিবীর-সবচেয়ে-বড় 108 মেগাপিক্সেল ক্যামেরার সেন্সর স্যামসাংয়ের এমনকি বিগত 20 বছর ধরে গাড়ি ম্যানুফ্যাকচার করে আসছে স্যামসাং এগুলোতো ছিল স্যামসাঙ সম্পর্কে জানা তথ্য কিন্তু এগুলো বাইরের অনেক তথ্য আছে যেগুলো সম্পর্কে আমরা জানি না কিন্তু কী সেই গুলো ?  


বিশ্বের সবচেয়ে উচু বিল্ডিং এ কথা বললে আমাদের মনে হয় দুবাই অবস্থিত বুর্জ আল খলিফা কথা সেখানে রয়েছে স্যামসাং এর অবদান এছাড়া আরও বেশকিছু উচু বিল্ডিং নির্মাণে স্যামসাংয়ের সরাসরি ভূমিকা রয়েছে এছাড়াও বর্তমান বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক শাহজালাল বিমানবন্দরের টার্মিনাল টু স্যামসাং এর নির্মাণ করবে | 


এছাড়াও স্যামসাঙ সম্পর্কে রয়েছে আরো অজানা অনেক তথ্য নির্মাণ করেছে বিভিন্ন ধরনের রোবট এছাড়াও যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত ট্রাংক এছাড়াও স্যামসাং বিমানের ইঞ্জিন তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত | এছাড়া স্যামসাং জাহাজ নির্মাণের জন্য তাদের হেভি ইন্দুষ্ট্রি কাজ করে যাচ্ছে এছাড়াও কোরিয়ার বৃহত্তম পার্ক থিম পার্ক  ও স্যামসাংয়ের পরিচালনা করে স্যামসাং এতটাই বড় যে স্যামসাং ডিজিটাল সিটি নামে একটি সিটি রয়েছে | এছাড়াও কোরিয়াতে samsung-এর বিভিন্ন ধরনের শোরুম দেখা যায়  | 



ড্রন রোবট ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এসবের জন্য স্যামসাংয়ের রয়েছে আলাদা গবেষণা কেন্দ্র মজার বিষয় হচ্ছে এই গবেষণা কেন্দ্রটি পরবর্তীতে মোবাইল ডিভিশনের একটি কেন্দ্র হতে যাচ্ছে | আপনারা নিঃসন্দেহে এতক্ষণে বুঝে গেছেন যে স্যামসাং টিভি মোবাইল কম্পিউটার এর বাইরে আরও অনেক ধরনের কাজ করে বলতে গেলে প্রায় সব ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরি করে স্যামসাং |


সুতরাং বলা যায় এমন একটি কোম্পানির সব সেক্টরে কন্ট্রিবিউট করেছে আর যাই করেছে তা অনেক প্রসারিত করার চেষ্টা করেছে এজন্য তারা মার্কেট লিডার হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে নিয়েছে যদিও অবাক হওয়ার মত বিষয় যে স্যামসাঙ সম্পর্কে মানুষ শুধুমাত্র মোবাইল এবং কম্পিউটার সম্পর্কে জানে |  


তবে ভাবতেই অবাক লাগে যে সবকিছু শুরু হয়েছিল শুধুমাত্র একজন সামান্য ব্যক্তির হাত থেকে তিনি শুরু করেছেন শুধুমাত্র সামান্য একটি মুদিখানার দোকান দিয়ে তিনি নিজেও জানতেন না তারে কোম্পানি এত বড় হয়ে যাবে যা একদিন তাদের অসম্ভব কোন কিছু সম্ভব হবে 

স্যামসাং এর কাজকর্ম


স্যামসাং প্রায় ৮০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত। এটা বিভিন্ন বহুমুখী, এলাকা ভিত্তিক নির্মাণ, কনজিউমার ইলেক্ট্রনিক্স, আর্থিক সেবা, জাহাজ নির্মাণ এবং চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে।


আরো পড়ুন:-


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post