টয়োটা কিভাবে এতটা সফল? How Toyota Became so Successful.

টয়োটা বিশ্বের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এবং নির্ভরযোগ্য অটোমোবাইল ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত, শুধু বাংলাদেশেই শতকরা 80% গাড়ির মার্কেট দখল করে রেখেছে |

একটা নির্ভরযোগ্য একটি পরিসংখ্যান অনুসারে গত 20 বছরে তাদের বিকৃত সকল গাড়ির প্রায় 80% এখনো ঠিকঠাক মতো চলছে | এছাড়া পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বিক্রিত গাড়িটি ম্যানুফ্যাকচার করেছে , তাই বুঝতেই পারছেন টয়োটার প্রভাব কতখানি | 

টয়োটা ব্র্যান্ড তৈরির ইতিহাস।

সেপ্টেম্বরে টয়োটা তাদের অটো ডিভিশন চালু করে যার অধীনে ম্যানুফ্যাকচারিং করার পরিকল্পনা করতে থাকে তারা | যদিও অটোমোবাইল তৈরিতে কোন অভিজ্ঞতাই ছিলো না | টয়োটা এজন্য তারা প্রথমে অনেকগুলো কোম্পানির আলাদা আলাদা ব্রান্ডের গাড়ি কেনার কেনার পরে সে গাড়ির পার্টস পত্র গুলো খুলে আলাদা করে এবং ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেন |

এবং সেখান থেকে অভিজ্ঞ অর্জন করে |তারা সেগুলোর মাধ্যমে নিজেদের জন্য একটা বেস্ট মডেল তৈরি করতে চাচ্ছিল আর এজন্য তারা জাপান এবং আমেরিকা থেকে কিছু ইঞ্জিনিয়ার ভাড়া করে |

পরবর্তীতে তারা অটোমোবাইল প্রোডাকশনের জন্য একটি আলাদা কোম্পানি গঠন করে যার নাম দেয়া হয় টয়োটা মোটর এর কিছুদিন পরেই দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সাথে জড়িত হয়ে যায় যুদ্ধের সরঞ্জাম তৈরি করতে হয় অটোমোবাইল কোম্পানিগুলোকে এর কারণে টয়োটা কোম্পানি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় |

তাদের প্রোডাকশন সীমাবদ্ধ করা হয় গাড়ির যন্ত্রাংশের সাপ্লাই কমে যায় এবং তাদের একটি কারখানা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তারা এরপর পরেই ট্রাক ম্যানুফ্যাকচারার করা শুরু করে দেয় তাদের ধারণা ছিল যুদ্ধের পরে আবারও জাপানকে পুনরায় গঠন করতে অনেক ট্রাকের প্রয়োজন পড়বে | 

হাজার 1950 সালের পরে টয়োটা অনেক বড় একটা ব্রেক পাই কোরিয়া যুদ্ধের জন্য বিপুল পরিমাণ ট্রাকের অর্ডার আসে এই বিশাল অর্ডার পূরণের জন্য তারা তাদের মান্থলি প্রোডাকশন দ্বিগুন করে দেয় |

তারা মান্থলি 650 টি থেকে 1000 টি করার টার্গেট নাই এভাবেই যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি থেকে উঠতে থাকে জাপান টয়োটাকিন্তু তারা অনুধাবন করতে পারছিল তাদের ব্যবসা আরো প্রসারিত করার জন্য বিশ্বের আরো বিভিন্ন দেশে তাদের ব্যবসা বিস্তার করতে হবে | 

তারা প্রথমে ফাস্ট গোয়িং ইউএসএ মার্কেট কে টার্গেট করেছিল | ইউএসএ-তে ষাটের দশকে যে গাড়িগুলো ছিল সেটি বিশাল আকারের | টয়োটা এতটাই এই গিয়েছে তাদের মূল কম্পিটিটর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এনটিটি ডোকোমো তাদের বাজারমূলধন দ্বিগুণ করলে ওটা সমান হবে না তবে শুনলে হয়তো অবাক হবেন টয়োটার ট্রানসলাতে 10 শতাংশ শেয়ার ছিল 2016 সাল পর্যন্ত | 

পরবর্তীতে তারা যখন বুঝতে পারে যে টেসলা তাদের কম্পেটিতর হতে চলেছে তখন তারা তাদের শেয়ার কে বিক্রি করে দেয় |  বর্তমানে টয়োটার 606 সাপোর্টার আছে যেখানে কর্মরত আছে 370000 কর্মী প্রায় |

টয়োটা ব্র্যান্ড বৈশ্বিক বাজারে ব্র্যান্ড শেয়ার 

ইউএসএ ইউকে কানাডা ব্রাজিল সহ আরো মোট 27 টি দেশে ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট রয়েছে বিভিন্ন জনসেবামূলক কাজের সাথে জড়িত আছে টয়োটা | 2017 সালের পর থেকে টয়োটা রোবট তৈরি করে আসছে |

 

বর্তমানে টয়োটা ইলেকট্রিক কারেন্ট পিছনেও কাজ করছে তবে সেখানে টয়োটা অনেকটাই পিছিয়ে আছে |  পৃথিবীর সর্বাধিক বিক্রিত গাড়ির টি টয়োটা তৈরি করেছে হাজার 966 সালে |

যখন টয়োটা করোলা লঞ্চ করে তখন প্রতি 30 সেকেন্ডে একটি করে করোলা বিক্রি হতো টয়োটা করোলা মডেলটি এত পরিমাণে বিক্রি হয়েছিল যে সে গাড়িগুলোকে যদি পুরো পৃথিবী কে চক্কর দেওয়া যায় তাহলে পাঁচবার চক্কর দিতে পারবে | 

2010 থেকে 2019 সালের মধ্যে 15 টি প্যাটার্ন নিয়ে সবার আগে এগিয়ে আছে টয়োটা | প্রতিবছর তারা আরএমবি খাতেই ইনভেস্ট করে 10 বিলিয়ন টাকা যেখানে তারা বিভিন্ন জিনিস নিয়ে রিসার্চ এবং গবেষণা করে আসছে নতুন টেকনোলজি নিয়ে 2015 থেকে 2017 সাল পর্যন্ত পরপর দুই বছরে তাকে সম্মানজনক খেতাব দেওয়া হয় |

এছাড়া টরটার এত সফলতা কারণেই তারা বিশ্বের সফল দশটি কোম্পানির মধ্যে নিজেদেরকে জায়গা করে নিতে পেরেছে বর্তমানে টয়োটা এতটাই বৃস্তিত যে আপনি যে দেশে যান না কেন টয়োটা গাড়ি খুঁজে পাবেন | এভাবে টয়োটা সবার শীর্ষে উঠতে পেরেছে এবং একটি সফল ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে |